
বর্ণপ্রথার বেড়াজাল ভেঙে ভালোবাসার জয় : জয়পুরহাটে মন্দিরে আন্তঃবর্ণ শুভ পরিণয়
HindusNews ডেস্ক :
বর্ণপ্রথা ও জাতপাতের সামাজিক বেড়াজাল ভেঙে ভালোবাসার জয়গান গাইল জয়পুরহাট। দীর্ঘদিনের প্রেমের পরিণতি হিসেবে সনাতন ধর্মের শাস্ত্রীয় সকল রীতিনীতি মেনে মন্দিরে শুভ বিবাহ সম্পন্ন করেছেন দুই তরুণ-তরুণী।
বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ, জয়পুরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে এই আন্তঃবর্ণ বিবাহ সমাজে এক সাহসী ও মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
নবদম্পতি হলেন—
মেয়ে: প্রিয়া শীল, শান্তিনগর, জয়পুরহাট
ছেলে: মিঠুন কুন্ডু, কুন্ডু পাড়া, জয়পুরহাট
জানা যায়, দীর্ঘদিনের পরিচয় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে প্রিয়া শীল ও মিঠুন কুন্ডুর মধ্যে গড়ে ওঠে বিশুদ্ধ প্রেমের সম্পর্ক।
বর্ণ ও জাতপাতের বাধা সত্ত্বেও তারা একে অপরের প্রতি অটল থেকে সনাতন শাস্ত্রসম্মত বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের অমত থাকা সত্ত্বেও গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পাথরঘাটা রাধাগোবিন্দ মন্দিরে ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
এই পবিত্র বিবাহ আয়োজনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করে বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ, জয়পুরহাট জেলা শাখা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রেম ও পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে শাস্ত্রীয় নিয়মে সম্পন্ন এই বিবাহ সনাতন ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী নয়; বরং মানবতা, সহমর্মিতা ও সামাজিক সমতার বার্তা বহন করে।
তবে দুঃখজনকভাবে, এই বিবাহকে এখনও মেনে নিতে পারেনি কনের পরিবার। পারিবারিক অস্বীকৃতি ও মামলার প্রেক্ষাপটে নবদম্পতি বর্তমানে কঠিন সময় পার করছেন।
পরিবার ও সমাজের একটি অংশের বিরূপ মনোভাব তাদের স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন শুরু করাকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ, জয়পুরহাট জেলা শাখা নবদম্পতির পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল সনাতনী ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, উভয় পরিবার শিগগিরই বর্ণপ্রথার সংকীর্ণতা পরিহার করে এই বৈবাহিক সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেবে এবং একটি সুখী ও শান্তিপূর্ণ পরিবার গঠনে সহযোগিতা করবে।