
চার মন্দিরের দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন বিএনপি নেতা অপু
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নে অবস্থিত চারটি হিন্দু মন্দির কমিটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধ অবশেষে শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে। পারস্পরিক সমঝোতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে এ জটিলতার সমাধান করায় সর্বমহলে প্রশংসায় ভাসছেন শরীয়তপুর-৩ আসনের (ডামুড্যা–গোসাইরহাট–ভেদরগঞ্জ) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু।
বুধবার বিকেলে মন্দির কমিটির প্রতিনিধি, স্থানীয় সুধীজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একাধিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এসব বৈঠকে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণের সময়সূচি এবং মন্দির ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের বিষয়গুলো খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। আলোচনার ভিত্তিতে সব পক্ষ একটি গ্রহণযোগ্য ও স্থায়ী সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের তরজুশিরগাঁও বাজার সর্বজনীন দুর্গা মন্দির, চরজুশিরগাঁও রাধা কৃষ্ণাংশী শ্রী ফার্সী মন্দির, তারুলিয়া শ্রীশ্রী মহামানব গণেশ পাগল মন্দির এবং নন্দীগ্রাম শ্রী শ্রী শিব মন্দির—এই চারটি মন্দির কমিটির মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ চলছিল। একাধিকবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এতদিন কার্যকর ও স্থায়ী কোনো সমাধান সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তিনি শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে প্রত্যেক পক্ষের বক্তব্য ও দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে শোনেন এবং সবাইকে একমত করে একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও সন্তোষ ফিরে আসে।
সরকারি সামসুল রহমান কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ বাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই চারটি মন্দির নিয়ে যে সমস্যা চলছিল, তা এলাকাবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। অতীতে অনেকেই চেষ্টা করলেও কার্যকর সমাধান আসেনি। মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করেছেন। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এখন থেকে সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করব।”
এ বিষয়ে মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু বলেন, “সব ধর্মের মানুষের পরিচয় এক—আমরা সবাই মানুষ। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের কোনো সুযোগ নেই। গোসাইরহাটসহ পুরো শরীয়তপুরে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি শান্তিময় ও উন্নত শরীয়তপুর গড়ে তুলতে চাই।”
মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় ভবিষ্যতে ধর্মীয় কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালিত হবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগের ফলে এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক সৌহার্দ্য আরও সুদৃঢ় হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে একই দিন সকালে গোসাইরহাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গোসাইরহাট থানাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাকে আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় সিক্ত করেন।