
জাত–পাত নিয়ে ভগবান কী বলেছেন? শাস্ত্রের আলোকে সত্যের অনুসন্ধান
দুরন্ত কুমার সাহা :ধর্মতত্ব ডেক্স.
সনাতন ধর্মে জাত–পাত নিয়ে বহু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন, ভগবান জন্মভিত্তিক জাতভেদ সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু শাস্ত্রের গভীর অধ্যয়নে স্পষ্ট বোঝা যায়—ভগবানের দৃষ্টিতে মানুষকে বিচার করা হয় গুণ ও কর্ম দ্বারা, জন্ম বা বংশ দ্বারা নয়।
ভগবদ্গীতা-তে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্পষ্টভাবে বলেছেন—
“চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ”
(গীতা ৪.১৩)
এর অর্থ—চার বর্ণ (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র) সৃষ্টি হয়েছে মানুষের গুণ (স্বভাব, যোগ্যতা) ও কর্ম (কাজ, দায়িত্ব) অনুসারে; জন্মের ভিত্তিতে নয়।
🔹 গুণ ও কর্মই আসল পরিচয়
যে ব্যক্তি জ্ঞান, সত্য, সংযম ও করুণায় উন্নত—সে ব্রাহ্মণগুণসম্পন্ন।
যে ব্যক্তি নেতৃত্ব, সাহস ও সমাজরক্ষায় নিবেদিত—সে ক্ষত্রিয়গুণসম্পন্ন।
যে ব্যক্তি বাণিজ্য, কৃষি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ—সে বৈশ্যগুণসম্পন্ন।
যে ব্যক্তি সেবামূলক কাজে নিয়োজিত—সে শূদ্রগুণসম্পন্ন।
এগুলো জন্মসূত্রে নয়, বরং মানুষের কর্ম ও প্রবৃত্তির ফল।