
দীপুকে হত্যা, কীভাবে চলবে সংসার, অসহায় স্ত্রী-সন্তান ও বাবা-মা
ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে (২৫) হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে পরিবার। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়েছেন স্বজনরা। তবে দীপুর মৃত্যুতে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে তার পরিবার। কারণ তার রোজগার দিয়ে পুরো সংসার চলতো।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দীপু চন্দ্রের ছোট ভাই অকু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। তবে সেটিকে এখনও মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ তুলে দেওয়া হয়। নিহত দীপু চন্দ্র তারাকান্দার মোকামিয়া কান্দা এলাকার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
দীপু চন্দ্র দাসের চাচাতো ভাই কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, দীপুরা তিন ভাই। দীপু সাত বছর ধরে ভালুকায় গার্মেন্টসে কাজ করে। দুই বছর আগে বিয়ে করেছিল। তার এক বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। দীপু যদি কোনও অপরাধ করে থাকে, তাকে পুলিশে সোপর্দ করা যেতো। কিন্তু তা না করে একদল লোক প্রথমে মারধর করে, পরে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মেরে ফেলেছে। এ ধরনের ঘটনা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।
আরেক চাচাতো ভাই সাধন চন্দ্র দাস বলেন, দীপুর রোজগার দিয়ে পুরো সংসার চলতো। এখন এই পরিবারটি একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে। ছোট্ট বাচ্চাটিকে নিয়ে দীপুর স্ত্রী কীভাবে চলবে। তার মৃত্যুতে বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীপু চন্দ্র দাসের ছোট ভাই অকু চন্দ্র দাস অজ্ঞতনামাদের আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।